
বাবা
❑
মাথার উপর একটি বৃক্ষ।
যতই দৌড়াচ্ছি…
কিছুতেই পেরুতে পারছি না তার ছায়া।
সমূহ দৃশ্যে সদর দরজা
❑
বুকের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেছি তোমার সদর দরজায়
অগ্রিম ফোটানো সর্ষে, মায়াবন। সাজানো বাগান পেরুতেই দুঃখপথ
বাকি পথফাঁকি দিয়ে বাড়ি ফিরে দেখি চুলোঘরের কালো নেকড়া উধাও
এ দৃশ্যের বিপরীতে বিড়ালের তাড়া খেয়ে উড়ে যেতে যেতে ধবল হচ্ছে কাক
অর্ফিয়াসের অবিশ্বাস থেকে আর বেরুতে পারছে না কোনো প্রেম
রুদ্ধ দ্বারে দাঁড়িয়ে প্রেমিক লিখছে ‘সকল উৎসর্গ ও অভিযোগের চূড়ায়
লিখে দেব প্রিয় নাম—’
এই দৃশ্যসকল তুমুল জেগে আছে তোমার সদর দরজায়, হৃদয় ক্যানভাস।
হতাশা রং
❑
আসছে জানুয়ারির উদ্দেশ্যে রচিত পকেটভর্তি হতাশাগুলোকে রয়ে শয়ে
রূপান্তরিত করি মানান-সই ঘোরে। তার উপর স্টিমরোলার চালিয়ে
উল্কার বেগে ছুটে যায় সুমি কায়সার। আমি বুদ হয়ে থাকি আর বলি,
যদি ১৬৫ দিনে বছর হতো! বিগত প্রেমিকার স্মৃতি-বিস্মৃতি চাপা পড়ত
জ্যামিতিক ভূমির তলে। অবশ্য অঙ্কুর গজালে হতে পারত ফলজ বৃক্ষ।
পাকা আপেলের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিত বলা যেত
অনাগত প্রেমিকার গালের রং হবে আপেল কিংবা অবিকল হতাশা রঙের।
চামেলি ফুল
❑
অনেক দিন না দেখা চামেলি ফুলের কেশরে গড়ে উঠছে
যে খেয়ালি প্রেমের ইমারত, ধীরে খসে যাবেই তার রঙিন পলেস্টার
যদিও শব্দ মাত্রই সন্ধি সাধিত হওয়া জরুরি নয়
তবুও তো ওরা যতনেই ঘুমায় কারও না কারও বুকে;
যেমন অভিধানের একই পাতায় লুকিয়ে থাকে বিষপোকা ও বনফুল!
আদ্র বাতাসে দুলে ওঠে জীবন যেন করুণ চামেলি ফুল।
হাসনাহেনা
❑
অন্তরিক্ষ প্রেম। আমি সংক্রান্ত তুমুল বিবাদ
সেদিন হাসনা ও হেনা দুই বোনের কোলাহল যত দূর পৌঁছেছিল
হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণ তত দূর ছড়িয়ে যায়
পদ্মাবতী ভাদ্রের পূর্ণিমা হৃদয়ের গভীরে
অন্তরিক্ষ প্রেম ছড়িয়ে যায় বায়ুপ্রবাহের বিপরীতে!
আরিফুল ইসলাম
শিক্ষা : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (অধ্যয়নরত), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ই-মেইল : arifulislam4009@gmail.com
Latest posts by আরিফুল ইসলাম (see all)
- আরিফুল ইসলামের কবিতাগুচ্ছ - May 29, 2017